আশ শাবাবের ইতিহাস ০৫ঃ হারাকাতুশ শাবাব গঠন

বৃহত্তর সোমালিয়ায় বৃটিশ বিরোধী জিহাদি আন্দোলনের অন্যতম নেতা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ হাসান (রহ.) ১৯২০ মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর সোমালিয়ায় আর ফিরে আসেনি একক কোনো ইসলামি নেতৃত্ব। সোমালিয়া পুরোপুরিভাবে ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়। এরপর ১৯৬০ সালে নামে মাত্র স্বাধীনতা লাভ করে দেশটি। শুরু হয় দেশটিতে পশ্চিমা গণতান্ত্রিক কুফরি ব্যবস্থা।

তবে দেশটিতে এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মাত্র এক দশক স্থায়ী হয়। কিন্তু এই স্বল্প সময়ে দেশটি একেবারেই ভেঙে পড়ে। কেননা এই সময়টাতে ক্ষমতা লোভীদের মাঝে শুরু হয় সংঘর্ষ। ফলে দেশ আরও বিপর্যয়ের দিকে চলে যায়। এই স্বল্প সময়ের ব্যাবধানে দেশটিতে ক্ষমতার লড়াইয়ে একে একে ৩ জন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতার মসনদে আসেন। তারা হলেন:
– আদম আবদুল্লাহ,
– আবদুর রশিদ আলী,
– মুখতার মাহমেদ হুসাইন
এরপর সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে
– সৈয়দ বারী।

ইসলামি দলগুলো সৈয়দ বারীর মাধ্যমে দেশে ইসলামি শাসন এবং স্থিতিশীল পরিবেশ আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু সৈয়দ বারী ইসলামি দলগুলোর কোনো পরামর্শই কানে নেয় নি। এভাবেই সে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত দেশে স্বৈরাচারী শাসন পরিচালনা করে। কিন্তু তার শাসনামলে দেশ পূর্বের যেকোনো সময়ের চাইতে আরও বেশি অস্থিতিশীল হয়ে উঠে। পশ্চিমাদের নোংরা গণতান্ত্রিক দলগুলো ক্ষমতার লড়াইয়ে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু করে, যা পূর্বের যেকোনো সময়ের চাইতে আরো তীব্র এবং চরম আকার ধারণ করে। লাখ লাখ মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেয়। সেই সাথে দেশ ৩টি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে।

মুজাহিদদের নিরংকুশ বিজয় ও হারাকাতুশ শাবাব গঠন:

এমন এক পরিস্থিতির মধ্যেই আবির্ভূত হয় কয়েকটি ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনীর। যেই দলগুলোর সমন্বিত রূপ ছিলো আল-ইত্তিহাদুল ইসলামিয়া ও পরবর্তীতে ইসলামি কোর্টস অফ ইউনিয়ন। এই দলগুলো ধীরে ধীরে গৃহযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে থাকেন। তাঁরা দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এবং ইসলামি শরিয়াহ্ ভিত্তিক একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য হাতে অস্ত্র তুলে নেন। দলগুলোর তীব্র লড়াই মুজাহাদার ফলে ১৯৯৬ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরে আসতে শুরু করে। এই দলগুলো তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলি ছাড়াও পশ্চিমা সমর্থিত গণতান্ত্রিক দলগুলোর নিয়ন্ত্রিত এলাকাতেও বেশ কিছু ইসলামি শরিয়াহ্ আদালত প্রতিষ্ঠা করেন। মানুষ এসব আদালতের ন্যায়-ইনসাফ পূর্ণ বিচার এবং এর নেতাদের সততা দেখে ইসলামি দলগুলোর ছায়াতলে ভিড়তে থাকেন।

ফলে ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে ২০০০ সালের মধ্যে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সোমালিয়ায় একটি অঘোষিত ইসলামি শরিয়াহ্ ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালনা করেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা। উপনিবেশ আর দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের পর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অঘোষিত এই ইসলামি ইমারার অধীনে মানুষ শান্তি খুঁজে পেতে শুরু করেন। মুজাহিদগণ তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলিতে স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনেন। প্রতিবেশী দেশগুলোতে হিজরতকারী মানুষজনও মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ফিরে আসতে শুরু করেন। তারা এখানে নিজেদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে থাকেন।

এরপর ২০০৬ সালের মে মাসে ক্রুসেডারদের শক্তিতে বলিয়ান স্যেকুলার দলগুলি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ফলে বৃহত্তর ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-ইত্তিহাদুল ইসলামিয়া ও ইসলামি কোর্টস অফ ইউনিয়ন তাদের মধ্যকার মতভেদ ভুলে গিয়ে এক পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হয়। এসময় জোটের অংশীদার “ওয়াহদাতুশ-শাবাব আল-ইসলামীয়া” এর নেতৃত্বকে জোটের সামরিক বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই দলটির অধিকাংশ যুবকই ছিলো শিক্ষিত এবং যুদ্ধ কৌশলে পারদর্শী।

https://ia601504.us.archive.org/34/items/img-20220901-013250-654/IMG-20220831-223449-805.jpg

এদিকে যুবক বয়সে আল-ইত্তিহাদুল ইসলামিয়ায় যোগদানকারী আরব বংশোদ্ভূত প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন শাইখ মুখতার আবু জুবায়ের (আহমদ আবদে কুদান) কে জোটের সর্বোচ্চ শুরা কাউন্সিলের প্রধান নিযুক্ত করা হয়। যিনি ১৯৭৭ সালে উত্তর সোমালিয়ার হারগেইসা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অত্যন্ত মেধাবী ও পরিশ্রমী ছিলেন। তাই অল্প বয়সেই তিনি কুরআন, সুন্নাহ্ এবং ফিকহা শাস্ত্রে পাণ্ডিত্য লাভ করেন। জানা যায় যে, শিক্ষা জীবন শেষে তিনি পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে হিজরত করেন। যেখানে তিনি সামরিক প্রশিক্ষণ নেন। এরপর তিনি দেশে ফিরে ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনীর সাথে যুক্ত হন। এসময় প্রতিরোধ বাহিনীগুলির সাথে তাঁর ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে। এবং আল-ইত্তিহাদুল ইসলামিয়ার একজন প্রথম সারির আলেম হিসাবে সামনে উঠে আসেন।

জানা যায় যে, আল-কায়েদা যেসব আলেমদের মধ্যস্ততায় দু’টি প্রতিরোধ বাহিনীর মাঝে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলো, তাদের মধ্যে শাইখ মুখতার আবু জুবায়ের ছিলেন অন্যতম।

যাইহোক, প্রতিরোধ বাহিনীগুলোর মধ্যকার এই ঐক্যতা এবং যোগ্য নেতৃত্বের ফলে মুজাহিদগণ মহান রবের সাহায্যে ঐ বছরের জুনের শুরুতে রাজধানী মোগাদিশুর পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেন। আর রাজধানী মোগাদিশুর এই বিজয়ের পর মুজাহিদগণ প্রথমবারের মতো সোমালিয়ায় ইমারাতে ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

এদিকে ইসলামি ইমারাত ঘোষণার পূর্বেই জোটের অংশীদার “ওয়াহদাতুশ-শাবাব আল-ইসলামীয়া ও মুসকার আল-মাহকামাত” সহ কয়েকটি প্রতিরোধ বাহিনী একীভূত হয়ে হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন নামে একটি বিশেষ সামরিক বাহিনী গঠন করেন। যার নেতৃত্ব পর্যায়ে ছিলো ১৯৭৯-১৯৮৯ সালের সোভিয়েত বিরোধী যুদ্ধের আফগান ফিরত বীর মুজাহিদিন, এবং ১৯৯৩ সালে শাইখ সাইফ আল-আদেল হাফিজাহুল্লাহ্’র নেতৃত্বে রাজধানী মোগাদিশুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পরিচালিত “ব্ল্যাক হক ডাউন” নামে পরিচিত অভিযানে অংশগ্রহণকারী বীর মুজাহিদগণ। যেই অভিযানে ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়।

এছাড়াও ইসলামি কোর্টস এবং ইত্তিহাদুল ইসলামিয়ার ঐসমস্ত আলেম এবং যোদ্ধারাও এই বাহিনীতে যুক্ত হন, যারা পূর্ব থেকেই আল-কায়েদার সাথে সম্পর্কে রেখে চলছিলেন। তাই মনে করা হয় যে, আল-কায়েদার নির্দেশেই তখন জোটের অংশীদার বাহিনীগুলোর সবচাইতে দক্ষ যোদ্ধা এবং বিজ্ঞ আলেমদের নিয়ে বিশেষ এই বাহিনীকে প্রস্তুত করা হয়েছিলো। আর বিশেষ এই বাহিনীর প্রধান হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় জোটের শুরা কাউন্সিলের প্রধান শাইখ মুখতার আবু জুবায়ের (রহ.) কে। এছাড়াও নেতৃত্ব পর্যায়ে ছিলেন, জুবায়ের মুখতার আলী, আদেন হাসি, হাসান তাহির (রহিমাহুমুল্লাহ্) সহ প্রমূখ উলামায়ে কেরাম।

এককথায় এটি ছিলো জোটের বাছাইকৃত সবচাইতে সক্রিয়, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এবং যোগ্য লোকদের নিয়ে গঠিত একটি বিশেষ সামরিক ইউনিট। আর জোটের এই বিশেষ সামরিক ইউনিটটিই ২০০৬ সালে রাজধানী মোগাদিশু বিজয়ের দ্বার উন্মোচন এবং ইসলামি ইমারাত প্রতিষ্ঠার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে।

সোমালিয়ায় নতুন ক্রুসেড যুদ্ধের সূচনা:

২০০৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে সোমালিয়াকে ইসলামি ইমারাহ্ হিসাবে ঘোষণা করেন মুজাহিদ উমারাগণ। তাদের এমন ঘোষণার পর নড়েচড়ে বসে পশ্চিমা বিশ্ব সহ আফ্রিকার ক্রুসেডার দেশগুলি। বিশেষ করে প্রতিবেশী খৃষ্টান প্রধান দেশ ইথিওপিয়ার কপালে দেখা দেয় দুশ্চিন্তার বলিরেখা। কারণ দেশটি বৃহত্তর সোমালিয়ার বিস্তীর্ণ ভূমি দখল করে আছে। সেই সাথে সোমালিয়ায় উপনিবেশ আমলে ইথিওপিয়া বৃটিশদের হয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলো।

সব দিক বিবেচনায় পশ্চিমা ও আফ্রিকান ক্রুসেডার দেশগুলির পাশাপাশি ইথিওপিয়া মনে করে যে, সোমালিয়ায় নবগঠিত এই ইমারাত ভবিষ্যতে তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। ফলে ক্রুসেডার দেশগুলো অল্প সময়ের মধ্যে ইসলামি ইমারাতকে ধ্বংস করতে ঐক্যবদ্ধ একটি সামরিক জোট গঠন করে। ফলে ঐবছরের গ্রীষ্মকালে ইসলামি ইমারাতকে ধ্বংসের সবরকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ক্রুসেডাররা, যা ডিসেম্বরে প্রাণবন্ত হয়ে উঠে।

ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, আফ্রিকান ইউনিয়ন, উগান্ডা এবং বুরুন্ডির মতো দেশগুলোর সমর্থনে ইথিওপিয়ান সেনাবাহিনী সোমালিয়া আক্রমণ শুরু করে। সরকারি তথ্য মতে, শুধু ইথিওপিয়াই এককভাবে এই যুদ্ধে ৩০ হাজার সৈন্য নামায়। বেসামরিক হিসাব মতে এই যুদ্ধে ইথিওপিয়ার ৮০ হাজার সেনা অংশ নেয়।

সেই সাথে মুজাহিদদের কাছে পরাজয় বরণকরাী গণতান্ত্রিক সরকারি বাহিনী, পুন্টল্যান্ড ও জালমাদুক অঞ্চলের স্থানীয় মিলিশিয়া গোষ্ঠী, এবং পশ্চিমা-সমর্থিত ট্রানজিশনাল ফেডারেল সরকারও ইথিওপিয়ান সেনাবাহিনীর সাথে এই যুদ্ধে যোগদান করে। এমনিভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত জলদস্যু ও যুদ্ধবাজ মিলিশিয়ারাও এই প্রক্রিয়ায় ক্রুসেডার জোটে অংশগ্রহণ করে। কেননা ইমারাতে ইসলামিয়ার স্থায়িত্ব ছিলো তাদের ধ্বংসের কারণ। যাইহোক সব মিলিয়ে পূর্ব আফ্রিকার ইসলাম বিরোধী পুরো শক্তিই তখন একজোট হয়ে ইমারাতে ইসলামিয়ার কয়েক হাজার মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ময়দানে অবতীর্ণ হয়।

পশ্চিমা সমর্থিত এই বিশাল সামরিক জোট ছিলো অত্যাধুনীক অস্ত্র, সাঁজোয়া যান আর বিমান বাহিনীতে সজ্জিত। অপরদিকে মুজাহিদদের কাছে তখনও কেবল হাতে বহনযোগ্য কিছু অস্ত্র ছিলো। যা দিয়ে মাত্র কয়েক দিন হয়তো রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা সম্ভব ছিলো। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধের ময়দানে ক্রুসেডার জোট বাহিনীর মুখোমুখি হওয়ার মতো শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি ছিল না ইসলামিক কোর্টস অফ ইউনিয়নের। এমন যুদ্ধের জন্য তারা প্রস্তুতও ছিলেন না।

ফলে যুদ্ধ যখন তীব্র আকার ধারণ করে এবং ইমারাতের পরাজয় অনেকটাই নিশ্চিত মনে হতে শুরু করে, তখন “ইসলামিক কোর্ট অফ ইউনিয়ন” এর কিছু দুর্বল ঈমানের লোক এবং কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী তাদের অস্ত্র ধারণ করা থেকে বিরত থাকে। তারা শত্রু শিবিরের বিশাল এই সংখ্যাধিক্য দেখে ময়দান ছেড়ে যায়। কেউ কেউ দুনিয়াবী পদমর্যাদার লোভনীয় অফার পেয়ে শত্রু শিবিরে যোগদান করে। অপরদিকে ঐসব অপরাধীরাও শত্রু শিবিরে অংশ নেয়, যাদেরকে ঘুষ নেওয়ার মতো বিভিন্ন অপরাধ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে ইমারাতের বিভিন্ন দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো।

সব মিলিয়ে ইসলামি জোট বাহিনীরই একটি অংশ ক্রুসেডারদের কাতারে গিয়ে শামিল হয়। একটি অংশ যুদ্ধ থেকে নিজেদেরকে গুটিয়ে নিয়। ফলে ইসলামি জোট একেবারেই ভেঙে যায়।

যুদ্ধের এই কঠিন পরিস্থিতিতেও ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনীর একদল মর্দে মুজাহিদ সীসা ঢালা প্রাচীরের নেয় ময়দানে দাড়িয়ে থাকেন। এই দলটি ছিলো আল-কায়েদার পরামর্শে গঠিত ‘হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদি’। ইমারাতে ইসলামিয়ার এই বিশেষ সামরিক ইউনিটটিই শেষ পর্যন্ত ক্রুসেডারদের বিশাল সামরিক জোট বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন। যেখানে সবাই ধারণা করছিল যে, বিশাল এই বাহিনীর সামনে ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা কয়েকদিনও টিকে থাকতে পারবে না। সেখানে তাঁরা এক মাস পর্যন্ত তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধের মাধ্যমে রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখেন।

সর্বশেষ, মুজাহিদদের হাতে কয়েক হাজার ক্রুসেডার সৈন্য নিহত এবং আহত হওয়ার পর, ২০০৬ সালের ২৯শে ডিসেম্বর রাজধানী মোগাদিশুতে প্রবেশ করতে সক্ষম হয় ক্রুসেডাররা। এবং ২০০৭ এর জানুয়ারিতে রাজধানী মোগাদিশু পুরোপুরিভাবে দখলদার মার্কিন-সমর্থিত এবং ইথিওপিয়ান ক্রুসেডার বাহিনীর হাতে চলে যায়। অপরদিকে হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন শক্তিসঞ্চার করে পুণরায় আক্রমণের লক্ষ্যে সাময়িক সময়ের জন্য রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে পিছু হটতে বাধ্য হন।

চলবে ইনশাআল্লাহ…


লিখেছেন : ত্বহা আলী আদনান



এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

Website Powered by WordPress.com.

Up ↑

Design a site like this with WordPress.com
শুরু করুন