সংগঠনে যুক্ত সম্মানিত ভাইদের প্রতি , আপন হৃদয় কুটিরে জমে থাকা রসকষহীন কিছু কথা..

শুরুতেই জেনে রাখা ভালো উক্ত লিখাটিতে আমি আম মুসলিমদের নয় বরং জ্বিহাদী জামাতে যুক্ত বা জ্বিহাদের ব্যাপারে পাকাপোক্ত এমন ভাইদেরকে ফোকাস করেছি । আর আমি মনে করি এর বিষয়বস্তুর ফরজিয়াত/ফযিলত কিংবা গুরুত্বর বিষয়ে সম্মানিত ভাইয়েরাই অধিক জ্ঞানী । আর তাই আমি উক্ত লিখাটির মূল বিষয়বস্তুর প্রেক্ষিতে কুরআন-হাদিসের তেমন কোন দলিল/আদিল্লা কোড করিনি বরং বাস্তবতার নিরিখে আপন হৃদয় কুটিরে জমে থাকা কিছু আকুতি পেশ করেছি মাত্র । তাই একটু বড় মনে হলেও সকল ভাইদেরকে ধৈর্যের সাথে পুরোটা পড়ার জন্য বিনয়ের সহিত অনুরোধ করছি রাহমান ও রাহিম অদ্বিতীয় আল্লাহ্*র নামে
ইন্নাল হামদালিল্লাহ , ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু আলা রসুলিল্লাহ

পটভূমি : দুনিয়ার এই ক্রান্তিলগ্নে বিশ্বায়নের মূর্তিরূপে নব্য আইয়ামে জাহিলিয়াতে ধরার বুকে বিশেষ করে আমাদের এ উপমহাদেশে এমন কোন ব্যক্তি বা যুবক-যুবতী কিংবা আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা পাওয়া হয়তো আমাবস্যার চাঁদ হয়ে দাঁড়াবে , যাদের কর্ণকুহরে ঝিঁঝিঁ পোকা তথা ক্রিকেট নামক হারাম খেল-তামাশার চার-ছক্কা আর উইকেট ভাঙ্গার বিশৃঙ্খল ও চেতনাহীন ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়নি বা হচ্ছেনা । হারাম-বেহায়াপনা আর অশ্লীলতায় আচ্ছাদিত এই ক্রীড়াতে প্রতিটি দেশের খলনায়ক নামক খেলোয়াড়দের পারফর্ম করার কয়েকটি ডিপার্টমেন্ট থাকে , যার ব্যাপারে আমরা প্রায় সবাই শামস-উল-উলামা [ জ্ঞানীদের মধ্যে সূর্য ] । ব্যাটিং , বোলিং এবং ফিল্ডিং হল যার মৌলিক বিভাগ । প্রত্যেককেই অন্তত একটি বিভাগে খুব দক্ষ হয়ে উঠতে হয় দলে টিকে থাকার জন্য । আর যে এই সকল বিভাগেই খুব দক্ষ থাকে তাকে বলা হয় অলরাউন্ডার । আর যখন সে উল্লেখিত এই সর্ব ডিপার্টমেন্টেই অসাধারণ পারফর্ম করে থাকে , তখন তাকে অধিষ্ঠিত করা হয় মহানায়কের আসনে কিংবা গলায় শোভা পায় দুনিয়ার তুচ্ছ সম্মান-যশ-খ্যাতির মহামাল্য । দক্ষ এই পারফর্মার অলরাউন্ডার এর কি পরিমাণ কদর ও সম্মান তা আমরা দেখতে পাই গো-মুত্র পানকারী নাপাক মালাউন্দের দেশের নিকৃষ্ট আর অভিশপ্ত আইপিএল নামক বিশ্বের বৃহৎ জুয়ার আসরে । যেখানে একজন দক্ষ অলরাউন্ডারের মূল্য থাকে দুনিয়ার তুলনায় আকাশচুম্বী। আর যখন সে পূর্বপাতানো অভিশপ্ত এ জুয়ার আসর তথা আইপিএল মাঠে দেখাতে পারে অসাধারণ কোন পারফর্মেন্স তখন তার আর কিছুর অভাব হোক বা নাহোক দিল্লির আর মুম্বাইয়ের সস্তা পতিতাদের ন্যায় নারী আর ফ্যানের অভাব হয় না , যদিও ক্ষণস্থায়ী মূল্যহীন টাকা-যশ-খ্যাতি-সম্মান লাভ তো আছেই । এই হল দুনিয়ার নাপাক ক্রীড়া-কৌতুকের এক তুচ্ছ অলরাউন্ডারের মর্যাদা বা মূল্য , যার তীব্র আকাঙ্ক্ষায় সে দেহ-মন উজাড় করে দেয় মাঠে-ময়দানে কোন কিছুর পরোয়া না করে। হ্যাঁ কোন কিছুর পরোয়া না করেই । দেখুন বর্তমান বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম অধিনায়ক মাশরাফির পায়ে ১১ বার অস্ত্রপচার হওয়া সত্ত্বেও সে দিব্যি খেলে যাচ্ছে , অথচ ডাক্তারগণ বলে থাকেন কারো পায়ে ২/৩ বার অস্ত্রপচার হলেই তার পক্ষে খেলা চালিয়ে যাওয়া খুব ঝুঁকিপূর্ণ । তাই তাকে অবসরে যাওয়া উচিৎ । অথচ ১১ বার হওয়া সত্ত্বেও সে খুব উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথেই খেলে যাচ্ছে সকল বিপদ-ঝুঁকি উপেক্ষা করে । কিসের টানে ? সেই ক্ষণস্থায়ী মূল্যহীন টাকা-যশ-খ্যাতি-সম্মান লাভ আর অভিশপ্ত দেশ বা জাতীয়তাবাদের টানে । তাহলে আল্লাহ দয়া করে যাঁদেরকে দ্বীন আল ইসলাম বা ইসলামের হাকিকত কিতাল ফি সাবিলিল্লাহর বুঝ দিয়েছে , তাঁদের এ পথে কি পরিমাণ কুরবানি ও আত্মত্যাগ আবশ্যক তা আবার নতুন করে মুসাহাবা করা উচিৎ । সেই সাথে এটাও চিন্তা-ভাবনা করা আবশ্যক যে ,এ পথের জরুরত বা দাবী অনুযায়ী আত্মত্যাগ বা কুরবানি কি আমরা সাধ্যমতো করতে পারছি বা করছি !

অতঃপর সম্মানিত ভাই আমার , আপনার প্রতি…
আপন হৃদয় কুটিরে জমে থাকা রসকসহীন কিছু কথা..
আজ জ্বিহাদী ক্রীড়ার ময়দানে দক্ষ অলরাউন্ডারের বড়ই অভাব , যে সকল প্রকার ঝুঁকি কিংবা বাঁধা-বিপত্তি পিছু ফেলে দেহ-মন উজাড় করে সকল বিভাগেই অসাধারণ পারফর্ম করবে । আজ আমাদের এ মাঠে তেমন অলরাউন্ডারের বড়ই আবশ্যক যেমন অলরাউন্ডার ছিলেন আমাদের আদর্শ ও গৌরবদীপ্ত পূর্বপুরুষ মাদিনার সম্মানিত আনসারগণ । দ্বীন আল ইসলামের কেমন অলরাউন্ডার তাঁরা ছিলেন তা আমার থেকে আপনারাই ভালো অবহিত । তাঁরা একদিকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসালাম ও তাঁর সহায়-সম্বল ও আশ্রয়হীন সাহাবীদের আশ্রয় তথা সেফ হাউস প্রদান করে হলেন দ্বীনের আনসার । অপরদিকে শুধু আশ্রয় দিয়েই বসে না থেকে বরং তাঁদের তরে অকাতরে নিজেদের সমুদয় অর্থ-সম্পদ ঢেলে দিয়ে হলেন দ্বীনের ডোনার । আর সকল আনসার সাহাবীই যখন সম্বলহীন মুহাজিরদের সাথে নিজেদের সমুদয় অর্থ-সম্পদ ও ঘর-বাড়ি ভাগ-বাটোয়ারা করে নিলেন , তখন সাদ ইবনুর রাবি রাদিআল্লাহু আনহু ইসলামের তরে আলরাউন্ডারের এমন অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থপন করেন যা গোটা মানব ইতিহাসে বিরল ।

“ আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত – আব্দুর রাহমান ইবনে আউফ হিজরত করে মাদিনায় এলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাদ ইবনে রাবির সাথে তাঁর ভ্রাতৃসম্পর্ক কায়েম করে দেন । সাদ ছিলেন মাদিনার খাজরাজ গোত্রের নেতা ও ধনাঢ্য ব্যক্তি । তিনি আব্দুর রাহমান ইবনে আউফকে বললেন – আনসারদের সকলে জানে আমি একজন ধনী ব্যক্তি । আমি আমার সকল সম্পদ [ আপনার সাথে ] সমান দুভাগে ভাগ করে দিতে চাই । আমার দুজন স্ত্রী আছে । আমি চাই আপনি তাদের দুজনকে দেখে একজনকে পছন্দ করুন । আমি তাকে তালাক দিব । তারপর আপনি তাকে বিয়ে করে নিবেন । ” [ আসহাবে রাসুলদের জীবনকথা – প্রথম খণ্ড – পৃষ্ঠা – ৭২ ] আল্লাহু আকবর ! আমার ভাই , একটু থমকে দাঁড়ান । আর একটু মন খুলে চিন্তা করুন আত্মত্যাগের এই বিরল দৃষ্টান্ত নিয়ে

অতঃপর জান বা রক্ত , সময় কিংবা শ্রম দেওয়ার ডিপার্টমেন্টেও ছিলেন তাঁরা অগ্রগণ্য । সত্য-মিথ্যার মাঝে পার্থক্যকারী প্রথম যুদ্ধ গাযওয়ায়ে বদরে যেই ৩১৩ জন সাহাবী অংশগ্রহন করেন তার মধ্যে ২৩০ জনই হলেন আনসার। এবং উক্ত যুদ্ধে শহীদ হওয়া ১৪ জনের মধ্যে ৮ জনই আনসার । অতঃপর গাযওয়া উহুদে শহীদ হওয়া ৭০ জন সাহাবীর মধ্যে ৬৬ জনই হলেন আনসার সাহাবী। আবার ভাবুন ৭০ জন শহীদের মধ্যে ৬৬ জনই আনসার সাহাবী । দ্বীন আল ইসলামের কেমন পাগল তাঁরা ছিলেন বুঝতে পারছেন ! বি’রে মাউনার শহীদদের মধ্যেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছিলেন আনসার । [ আসহাবে রাসুলদের জীবনকথা – খণ্ড – ৩ – পৃষ্ঠা – ১১ ] হুনাইনের যুদ্ধের প্রতিকূল পরিস্থিতির সময়েও যুদ্ধের মোড় ঘুড়িয়ে দেন এই আনসার অলরাউন্ডারগণই । এভাবেই ইসলামের প্রায় সকল যুদ্ধ মাঠেই আনসার বা সেফ হাউস – ডোনার কিংবা অর্থ-সম্পদ – সময় বা শ্রম – জান বা রক্ত সবকিছু দিয়েই অসাধারণ পারফর্ম করেছেন এই অলরাউন্ডারগণ । যাঁদের আত্মত্যাগ আর কুরবানির বদৌলতেই আল্লাহ্* এই দ্বীনকে বিজয়ী করেছেন ।

আজ যদি আমরাও পারি আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কিতালের অলরাউন্ডার হতে তাহলে আমাদের এই ভূখণ্ডেও ইনশাআল্লাহ্* দ্বীন আল ইসলামের পকাতা আর বেশী দিন ধুলোয় ধূসরিত থাকবেনা । আর আমাদের কাঙ্ক্ষিত তামকিনও আল্লাহ আমাদের দান করবেন অতি শিগ্রই যদি আমরা বর্তমানের কিতালের চাহিদা অনুযায়ী অলরাউন্ডার হতে পারি যাদের সেই সামর্থ্য রয়েছে । ইতিহাস সাক্ষী এই দ্বীন গালেব হওয়ার জন্য খুব বেশী ভাইয়ের প্রয়োজন হয়না ইনশাআল্লাহ্* । অল্প কিছু সামর্থ্যবান ভাইও যদি ইখলাসের সাথে নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করে যায় এই দ্বীনের জন্য তাহলে তাদের বরকতেই আল্লাহ এই দ্বীনকে বিজয় দান করেন বা করবেন ইনশাআল্লাহ্* । হ্যাঁ যদি আমরা আমাদের প্রত্যেকের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বচ্চো আত্মত্যাগ করি । আর আমাদের প্রত্যেকের সামর্থ্যের ব্যাপারে আমরা নিজেরাই খুব ভালো ওয়াকিবহাল , এখন আমরা যতই অজুহাত পেশ করিনা কেন । আল্লাহ্* সুবহানাহু বলেন –
“ বরং মানুষেরা (মূলত ) নিজেদের ব্যাপারে নিজেরাই সম্যক অবগত , যদিও সে নিজের ( স্বপক্ষে ) বিভিন্ন অজুহাত পেশ করতে চাইবে । [ আল কিয়ামাহ – ১৪-১৫ ]

কি ঠিক বললাম ? যদি আমার সাথে আপনি একমত থাকেন তাহলে এবার আসুন একটু বাস্তবতা নিয়ে মুজাকারা করি । তার আগে আরেকবার স্মরণ করিয়ে দেই – একটু আগেই কিন্তু আপনি উপরে বলে এসেছেন যে নিজের সমস্ত সম্পদ এবং নিজ ও নিজ পরিবারের সকলের জীবন এসমস্ত কিছু থেকে দ্বীন-ই আপনার নিকট সবচেয়ে দামী ।
ডক্টর আবদুল্লাহ আজ্জাম রহিমাহুল্লাহ তাঁর তাওবার তাফসীর কিতাবে অ্যামেরিকান এক ধনাঢ্য ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেন । যে ছিল প্রচুর ধন-সম্পদ এর মালিক । কোন কিছুর অভাব তার ছিল না । শুধুমাত্র তার একটি সমস্যা ছিল , তার মোটেও ঘুম হতো না । এটাই হল তার একমাত্র সমস্যা । সে এর জন্য অনেক ডক্টর দেখিয়েছে এবং অনেক টাকাও খরচ করেছে কিন্তু কোন ডক্টর-ই তার চোখে ঘুম আনতে পারলনা । অবশেষে সে বাধ্য ঘোষণা দেয় যে – “ যে ব্যক্তি আমার চোখে ঘুম এনে দিতে পারবে তাকে আমি আমার সমস্ত সম্পত্তি দিয়ে দিবো । ” এতোটুকুই আমার প্রাসঙ্গিক কথা । তার ঘোষণাটি নিয়ে আবার ভাবুন – “ যে ব্যক্তি আমার চোখে ঘুম এনে দিতে পারবে তাকে আমি আমার সমস্ত সম্পত্তি দিয়ে দিবো । ” খেয়াল করুন ঘুম হল মানব জীবনের জাস্ট একটি পার্ট । যেই ঘুমের নিকট তার এতো বছরের তিলে তিলে গড়ে তোলা সমস্ত সম্পত্তি আজ মূল্যহীন তুচ্ছ । স্রেফ ঘুমের নিকট সারাজীবনের সমস্ত সম্পত্তি যদি এতো মূল্যহীন হয়ে থাকে তাহলে আপনার আর আমার জীবনের নিকট আমাদের সমস্ত অর্থ-সম্পদ কতো মূল্যহীন বা তুচ্ছ তা কি বুঝতে পারছেন ! আর তা যথাযথ উপলব্ধি করার জন্য চলুন আরেকটি বাস্তব উদাহারন দেখি যা আমাদের সামান্য কদিনের এই পৃথিবীতে অহরহ ঘটে থাকে ।

যখন কোন ব্যক্তির নিজের বা নিজ পরিবারের কারো এমন কোন রোগ হয় যার দরুন তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা একদম ক্ষীণ হয়ে যায় , তখন সেই সামর্থ্যবান বা সম্পদশালী ব্যক্তি কি করে ? সে কি একবারও ভাবে যে – সে তো একভাবে না একভাবে মারাই যাবে তাহলে শুধু শুধু এতো টাকা পয়সা খরচ করে লাভ কি যা আমার এতো বছরের কষ্টার্জিত অমূল্য সম্পদ ! না , তা কিন্তু সে ভাবে না বা করেও না । বরং সেই রোগ থেকে আরোগ্য লাভের জন্য যদি তার সারাজীবনের সমস্ত সম্পদ-ও ব্যয় করে দিতে হয় তাও কিন্তু সে করে । আপনি বা আমিও কিন্তু হয়তো এটাই করবো । কারণ সারা জিন্দেগীর রক্ত আর ঘামের বদৌলতে তিলে তিলে গড়ে তোলা কষ্টার্জিত সমস্ত সম্পদের মূল্যও আমার নিকট আমার প্রাণের চাইতে বেশী নয় । যেই অনিশ্চিত প্রাণ টাকে স্রেফ অল্প কিছু দিনের জন্য বাঁচিয়ে রাখার নিমিত্তে মানুষ তার সমস্ত সম্পদ বিসর্জন দিতেও প্রস্তুত বা দেয় , যা আমাদের স্পষ্ট চক্ষুষ্মান ।তাহলে আমাদের সবচাইতে প্রিয় বা দামী আমাদের প্রাণ বা আমাদের পরিবারের কারো প্রাণ যাকে বাচিয়ে রাখার জন্য আমরা আমাদের সমস্ত অর্থ-সম্পদ বিসর্জন দিয়ে দেই , সেই প্রাণের চাইতেও আমাদের নিকট অধিক মূল্যবান বা দামী হল স্বীয় দ্বীন। কি ঠিক তো ?

তাহলে যেই অনিশ্চিত প্রাণ কে অল্প কিছুদিনের জন্য বাঁচিয়ে রাখার নিমিত্তে যেই পরিমাণ সম্পদ ব্যয় ও আত্মত্যাগ করতাম বা করি , সেই পরিমাণ সম্পদ ব্যয় বা আত্মত্যাগ কি আমরা করছি আমাদের দাবী অনুযায়ী আমাদের প্রাণের চাইতেও অধিক , আমাদের প্রাণের চাইতেও অধিক , আমাদের প্রাণের চাইতেও অধিক মূল্যবান দ্বীন আল ইসলামকে টিকিয়ে বা বাঁচিয়ে রাখার নিমিত্তে কিতাল ফি সাবিলিল্লাহতে !!! যেই দ্বীনের পতাকা আজ ধুলোয় ধূসরিত , যেই দ্বীন আজ মাজলুম । মুমূর্ষু এই দ্বীনকে পুনঃজাগরণের জন্য জ্বিহাদে তেমন সম্পদ বিসর্জন ও আত্মত্যাগ কি করছি আমরা , যেমন করতাম নিজ বা নিজ স্ত্রী-সন্তানের মুমূর্ষু প্রাণ বাঁচিয়ে তোলার জন্য ! আমি আবারো বলছি গভীর মনোযোগ দিয়ে একটু ভাবুন আমার ভাই – মুমূর্ষু এই দ্বীনকে পুনঃজাগরণের জন্য জ্বিহাদে কি আমরা তেমন সম্পদ বিসর্জন ও আত্মত্যাগ করছি , যেমন করতাম নিজ বা নিজ স্ত্রী সন্তানের মুমূর্ষু প্রাণ বাঁচিয়ে তোলার জন্য !

তার মানে আমি এটা বলছিনা বা বুঝাচ্ছিও না যে আমি প্রাণ বাঁচাতে চিকিৎসা করতে নিরুৎসাহিত করছি । বরং আমি আমাদের বাস্তবতাটা বুঝাতে চেষ্টা করছি । আসলে এটাই হল আমাদের বাস্তবতা যে পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে আমি ঠিক-ই বেহিসাবি অঢেল অর্থ ব্যয় করে থাকি , এমনকি কঠিন না নাজুক পরিস্থিতিতে নিজ জীবনের সমস্ত অর্থ-সম্পদ-ও ব্যয় করে দিতে দ্বিধা বা কুণ্ঠাবোধ করিনা । তাহলে মুসলিম উম্মাহ কি আজ এক কঠিন থেকে কঠিনতর নাজুক পরিস্থিতির সম্মুখীন নয় ? নিজ বা নিজ পরিবারের ক্ষেত্রে যেমন চিন্তাহীনভাবে বেহিসাবি অকাতরে ব্যয় করি ঠিক তেমনিভাবে গোটা উম্মাহর কল্যাণে কিতাল ফি সাবিলিল্লাহতে চিন্তাহীনভাবে বেহিসাবি অকাতরে উদারহস্তে ব্যয় করতে তাহলে কেন আমি পারিনা ? ওহে সামর্থ্যবান বা বিত্তশালী ভাই আমার ! নিজ ছেলে-মেয়েদের অনিশ্চিত উজ্জ্বল ফিউচার এর বিবেচনা করে ঠিকই কিন্তু আমি দুনিয়ার ব্যাংক-ব্যালেন্স ফুল করে রাখি বা করতে থাকি , কিন্তু গারিব এই দ্বীনের গৌরবদীপ্ত ফিউচার বা স্বীয় পরকালিন সুনিশ্চিত চিরস্থায়ী ফিউচার এর জন্য কি এতোটুকু বা তার চাইতে পরিমাণে কিছুটা অধিক ব্যাংক-ব্যালেন্স জমা কি করেছি যতোটুকু করেছি স্রেফ অল্প কিছুদিনের এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার ব্যাংক-ব্যালেন্সে ?
আসলে উম্মাহর দুর্যোগপূর্ণ এ ক্রান্তিলগ্নে আমাদের জ্বিহাদের পথে এমন এক ঝাঁক আত্মউৎসর্গকারী শক্তিশালী মজবুত দৃঢ় অলরাউন্ডারের প্রয়োজন যারা কিতালের মাঠে নিজ সাধ্যের সবটুকু ঢেলে দিবে । স্পেসিয়ালি – আমাদের এ ভূখণ্ডের বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী আমাদের এমন এক ঝাঁক মজবুত ও শক্তিশালী ডোনার এবং আনসারের প্রয়োজন যারা নিজ মানবিক মৌলিক চাহিদা বা একান্ত জরুরত পুরা করে অবশিষ্ট সব অর্থ বা সম্পদ জ্বিহাদ নামক ব্যাংকে সঞ্চয় করবে , যা একদিন আনলিমিতেড গুনে বর্ধিত হয়ে তার নিকট হাযিরা দিবে ইনশাআল্লাহ্ ।


খাদ্য মানুষের মৌলিক চাহিদা ঠিক কিন্তু ব্যয়বহুল ভালো ভালো খাবার দ্বারা দেহ-মন-নফস কে হৃষ্টপুষ্ট করার নিমিত্তে নিজ বেতন বা ইনকাম এর এক বিশাল অংক খরচ করে দেওয়া হয়তো মৌলিক চাহিদা নয় । পোশাক গ্রহণ একান্ত জরুরী বটে কিন্তু প্রতিনিয়ত মূল্যবান দামী দামী পোশাক আর স্ত্রীর বৈধ শখ অলঙ্কার ক্রয় করে বৈধ বিলাসিতায় মত্ত থাকা হয়তো আমাদের মৌলিক চাহিদা নয় ।
সুতরাং আমরা যদি কেবল আল্লাহ্*র সন্তুষ্টির জন্যে পুনরায় ধরণীর বুকে দ্বীন আল ইসলামের গৌরবদীপ্ত মানচিত্র অঙ্কনের তাগিদে একটু কষ্ট হলেও সংযমী হয়ে জীবনধারণ করতে পারি , তাহলে আমরা আমাদের বেতন বা মাসিক আয় থেকে একটা বড় অঙ্ক জ্বিহাদে ব্যয় করতে পারবো । আমরা সবাই তো জানি যে সম্মানিত সাবেকুন আউয়ালুন সাহাবিগণ নিজ সমস্ত অর্থ দিয়ে দিতেন জ্বিহাদের জরুরতে ।

আর যখন জিহাদ ফরদুল আইন হয়ে যায় তখন এই উম্মাহর , বিশেষ করে উম্মাহর যুবাদের আর কোন ক্যারিয়ার থাকতে পারেনা কিতাল ব্যতিত । আর স্বীয় ক্যারিয়ারের একমাত্র গোল বা লক্ষ্য শাহাদাহ ছাড়া আর কিছুই হতে পারেনা । কারণ স্বীয় অস্তিত্তের সাথে মিশ্রিত দ্বীন আল ইসলামের পতাকা যখন থাকে ধুলোয় ধূসরিত , তখন এই উম্মাহর থাকেনা কোন সম্মান-ইজ্জত লাঞ্ছনা ব্যতিত । যেমনটাই পুরো পৃথিবী জুড়ে আজ স্পষ্ট পরিলক্ষিত । আর এহেন অবস্থায় নিজেকে জ্বিহাদের ফরজিয়াত থেকে এবং সামর্থ্যবানদের উদার হস্তে কিতালের পথে ব্যয় করা থেকে বিরত থাকার কোন সুযোগ বা অজুহাত থাকতে পারেনা ।

আচ্ছা যদি আমি প্রশ্ন করি – সম্মানিত ভাই আপনার নিকট সবচেয়ে মূল্যবান বস্তুটির নাম কি যা নিজের সমস্ত সম্পদ , নিজ জীবন এবং পরিবারের সকলের জীবনের চাইতেও অধিক দামী ? আপনার অন্তর যদি ঈমানি বলে বলিয়ান থাকে তাহলে কিন্তু আপনি খুব দিঢ়ভাবেই বলে উঠবেন দ্বীন , এরপর দ্বীন , এরপরও দ্বীন । কেননা উইথআউট দ্বীন আমার অস্তিত্বই মূল্যহীন ।

” তাবুক অভিযানে আব্দুর রাহমান ইবনে আউফ রাদিয়াল্লাহু আনহু রেকর্ড পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন । আব্দুর রাহমান আট হাজার দিনার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাতে তুলে দিলে মুনাফিকরা কানাঘুষা শুরু করে দেয় । তারা বলতে থাকে সে একজন রিয়াকার , লোক দেখানই তাঁর উদ্দেশ্য । তাদের জবাবে আল্লাহ্* বলেন – এই তো সেই ব্যক্তি , যার উপর আল্লাহর রহমত নাযিল হতে থাকবে [ তাওবা- ৭১ ] । অন্য একটি বর্ণনায় আছে – উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর দান দেখে বলে ফেলেন – “ আমার মনে হচ্ছে আব্দুর রাহমান গুনাহগার হয়ে যাচ্ছে , সে তাঁর পরিবারের লোকদের জন্য কিছুই রাখেনি । একথা শুনে রাসুল জিজ্ঞেশ করলেন – আব্দুর রাহমান পরিবারের জন্য কিছু রেখেছো কি ? জবাবে তিনি বলেন – হ্যাঁ , আমি যা দান করেছি তার থেকেও বেশী ও উৎকৃষ্ট জিনিস তাদের জন্য রেখেছি । রাসুল জিজ্ঞেস করলেন – কতো ? তিনি জবাবে বললেন – আল্লাহ ও তাঁর রাসুল যে রিজিক , কল্যাণ ও প্রতিদানের অঙ্গীকার করেছেন , তাই । “

” রাসুল সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নবুওয়াতের প্রকাশ্য ঘোষণা দেন , তখন আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিকট চল্লিশ হাজার দিরহাম ছিল । ইসলামের জন্য তিনি তাঁর সমস্ত সম্পদ ওয়াকফ করে দেন । তেরো বছর পর যখন তিনি রাসুল এর সাথে মাদিনায় হিজরত করেন তখন তাঁর কাছে এ অর্থের মাত্র আড়াই হাজার দিরহাম অবশিষ্ট ছিল । অল্পদিনের মধ্যে অবশিষ্ট আড়াই হাজার দিরহাম-ও ইসলামের জন্য ব্যয় করে দেন । আমার ভাই , চিন্তা করুণ সেই চোদ্দশত বছর আগের চল্লিশ হাজার দিরহাম ! আর এ কারণে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন – আমি প্রতিটি মানুষের ইহসান পরিশোধ করেছি কিন্তু আবু বকরের ইহসান সমুহ এমন যে তা পরিশোধ করতে আমি অক্ষম । তার প্রতিদান আল্লাহ দেবেন । তার অর্থ আমার উপকারে যেমন এসেছে অন্য কারো অর্থ তেমন আসেনি । ( আসহাবে রাসুলদের জীবনকথা – প্রথম খণ্ড – পৃষ্ঠা – ২২ ) আবার কেউ নিজ সমস্ত সম্পদকে সমান ২ ভাগে ভাগ করে একভাগ রেখেছেন পরিবারের জন্য আরেকভাগ দিয়েছেন জ্বিহাদে , যেমন উমর বিন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু । কেউ আবার নিজ সমস্ত সম্পদকে সমান তিন ভাগে ভাগ করে এক ভাগ দিয়েছেন জ্বিহাদে এবং বাকি ২ ভাগ রেখেছেন নিজেদের জন্য । যেমন উসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু ।এখন যদি আমি প্রশ্ন করি যে – আমরা কে কে ঠিক আল্লাহ্*র আরসের নিচে স্থান পেতে চাই ? কিংবা আমরা কে কে মর্যাদায় সাবেকুন আউয়ালুন বা প্রথম অগ্রগামীদের কাতারে শামিল হতে চাই ? তাহলে মনে হয়না ওয়াজ মাহফিলের প্যান্ডেল এর ন্যায় কারো হাত নিচে থাকবে ।

কিন্তু এখন যদি আমি জানতে চাই – আমরা কে কে আমাদের বেতন বা মাসিক মোট আয়ের এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ তিন ভাগের এক ভাগ আল্লাহ্*র বিধান কায়েমের লক্ষে জ্বিহাদ ফি সাবিলিল্লাহতে দিয়ে দিতে প্রস্তুত আছি ? যদিও তাতে আমার জীবনধারণ করতে কিছুটা কষ্টও হয় । হ্যাঁ একটু কষ্ট হবে বটে কিন্তু দুই ভাগ দিয়ে জীবনধারণ অসম্ভব কিছু নয় যাদের বেতন বা আয় একটু ভালো । তো এখন কত জনের হাত উপরে উঠেছে ? বা কতজন এখনই মনে মনে পাক্কা ইরাদা করেছেন যে – এই মাস থেকেই আমি আমার পরিবারিক খরচে কিছুটা সংযমী হয়ে আমার মোট মাসিক বেতন বা আয়ের তিন ভাগের এক ভাগ আল্লাহ্*র রাস্তায় আল্লাহ্*কে কর্যে হাসানা দিয়ে দিবো , আর ইনশাআল্লাহ্* মহা দুর্যোগপূর্ণ সময়ে যার লাভ-আসল সহ আনলিমিটেড বুঝে নিবো ।হে আল্লাহ্* ! যারা হাত তুলেছে বা ইরাদা করেছে আপনি তাঁদের কবুল করুন দয়া করে । আপনি আমাদেরকে এমন এক ঝাঁক অলরাউন্ডার বা ডোনার-আনসার-দায়ী তৈরি করে দিন জ্বিহাদ হবে যাঁদের নেশা এবং জ্বিহাদকে কেন্দ্র করেই যারা ঠিক করবে স্বীয় দুনিয়াবি পেশা । এমন ভাই – কিতাল হবে যাঁদের একমাত্র ক্যারিয়ার এবং শাহাদাহ হবে যাঁদের সেই ক্যারিয়ারে একমাত্র গোল বা অভীষ্ট লক্ষ্য । যা এচিব বা অর্জন করার জন্য তাঁরা হবে তুমুল প্রতিযোগিতায় লিপ্ত এবং সেই প্রতিযোগিতায় ফাস্ট ডিভিশনে পাশ করার লক্ষে যাঁদের কাজের গতি হবে অত্যন্ত ক্ষিপ্র ।

সমস্ত প্রশংসা একমাত্র দয়াময় আল্লাহ্*রই জন্য , যিনি অত্যন্ত প্রাচুর্যময় ও প্রতাপশালী , বিধানদাতা ও সার্বভৌমত্তের অধিকারী ।
প্রিয় ভাই , আশা করি আপনার আন্তরিক দুয়ায় আমাকে ভুলে জাবেন না , যেন অ্যাট ফার্স্ট আমি আমার কথাকে কাজে রূপ দিতে পারি ।ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ…

আর বহু নবী ছিলেন, যাঁদের সঙ্গী-সাথীরা তাঁদের অনুবর্তী হয়ে জেহাদ করেছে; আল্লাহর পথে-তাদের কিছু কষ্ট হয়েছে বটে, কিন্তু আল্লাহর রাহে তারা হেরেও যায়নি, ক্লান্তও হয়নি এবং দমেও যায়নি। আর যারা সবর করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। (আলে ইমরান ১৪৬)

Collected

3 thoughts on “সংগঠনে যুক্ত সম্মানিত ভাইদের প্রতি , আপন হৃদয় কুটিরে জমে থাকা রসকষহীন কিছু কথা..

Add yours

  1. আসসালামু আলাইকুম। পৃয় ভাই,লেখাগুলো মনোযোগের সাথে পড়লাম।অনেক ভাললাগল কিন্তু কিভাবে যুক্ত হব সেই সহীদিকাফেলায়?
    সম্ভবহলে জানাবেন।

    1. ওয়া আলাইকুম আস সালাম। আপনাকে অফলাইনে মুজাহিদদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। অনলাইনে কক্ষনোই মুজাহিদরা যোগাযোগ করেন না বা জয়েন করান না। তাই অনলাইনে যদি কেউ জিহাদি দলে যোগদান করার কথা বলে, তাহলে তার গোয়েন্দা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কারণ, গোয়েন্দারা জিহাদ উৎসাহী সরলমনা যুবকদেরকে ধরার জন্য অনলাইনে ফাঁদ পাতে।

      যতদিন মুজাহিদদের সাথে আপনার অফলাইনে যোগাযোগ না হয়, ততদিন আল্লাহর কাছে দুয়া করতে থাকুন যাতে তিনি আপনাকে নিরাপদে মুজাহিদদের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেন। একই সাথে এতদিনে নিজে নিজে বাসায় ফিটনেস প্রশিক্ষণগুলো করুন। আপনি বেসিক ফিটনেস ধরে রাখলেই অর্ধেক প্রশিক্ষণ হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। এ ব্যাপারে নিচের পোস্টের নির্দেশনা অনুসরণ করতে পারেন।

      https://strugglebn.wordpress.com/2022/07/03/%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%9f%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b8-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d/

      অনলাইনে গোয়েন্দাদের ফাঁদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে-
      https://strugglebn.wordpress.com/how-to-join/

      1. আসসালামু আলাইকুম। ভাই আমি কিভাবে কাফেলায় যুক্ত হতে পারি। পরামর্শ চাই

        On Tue, 20 Sep 2022, 10:19 a.m. প্রজেক্ট প্রচেষ্টা, < comment-reply@wordpress.com> wrote:

        প্রজেক্ট প্রচেষ্টা commented: “ওয়া আলাইকুম আস সালাম। আপনাকে অফলাইনে > মুজাহিদদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। অনলাইনে কক্ষনোই মুজাহিদরা যোগাযোগ করেন না > বা জয়েন করান না। তাই অনলাইনে যদি কেউ জিহাদি দলে যোগদান করার কথা বলে, তাহলে > তার গোয়েন্দা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কারণ, গোয়েন্দারা জিহাদ উৎসাহ” >

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

Website Powered by WordPress.com.

Up ↑

Design a site like this with WordPress.com
শুরু করুন