মুরতাদদের সাথে সন্ধি করার বিধান

প্রশ্ন ৩১ :কোন তাওহীদবাদী জামাআতের জন্য মুরতাদদের সাথে সন্ধিচুক্তি করা কি স্বাভাবিকভাবে বৈধ? নাকি এর জন্য শক্তি সামর্থ থাকা শর্ত?নাকি তাদের সাথে যে কোন ধরনের সন্ধিচুক্তিই নিষিদ্ধ?আল্লাহ না করুন, কোন তাওহীদি জামাআত যদি কোন মুরতাদ ও স্যেকুলার গ্রুপের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যায়, তাদের জন্য কি সেই গ্রুপের সাথে সন্ধি করা জায়েজ আছে?... Continue Reading →

কানযুদ দাকায়িক ১০: যেসব কাফেরকে হত্যা করা নিষেধ

ونهينا عن ... وقتلِ امرأةٍ وغيرِ مكلّفٍ وشيخٍ فانٍ وأعمى ومقعدٍ[1]؛ إلّا أن يكون أحدهم ذا رأيٍ في الحرب أو ملكًا “এবং বারণ করা হয়েছে মহিলা, গাইরে মুকাল্লাফ, শায়খে ফানি, অন্ধ এবং পঙ্গুদের হত্যা করতে। তবে তাদের কেউ যুদ্ধে নির্দেশনা-প্রদানকারী কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান হলে (হত্যা করা যাবে)।” ব্যাখ্যাকাফেরদের মধ্য থেকে কাকে কাকে হত্যা করা নিষেধ এবং... Continue Reading →

কানযুদ দাকায়িক ০৮ঃ কুরআনে কারীম সাথে নেয়া এবং মহিলাদের জিহাদে নেয়া

ونهينا عن إخراج مصحفٍ وامرأةٍ في سرّيّةٍ يخاف عليها “সারিয়া (ছোট বাহিনি); যা পরাজিত হওয়ার শঙ্কা আছে, তাতে কুরআনে কারীম ও মহিলা সাথে নেয়া নিষেধ।” ব্যাখ্যাকুদুরিতে মাসআলাটি এভাবে বলা হয়েছে:ولا بأس بإخراج النساء والمصاحف مع المسلمين إذا كان عسكرا عظيما يؤمن عليه، ويكره إخراج ذلك في سرية لا يؤمن عليها.“বিরাট বাহিনি; যা (সাধারণত) পরাজিত হওয়ার... Continue Reading →

কানযুদ দাকায়িক ০২: যাদের উপর জিহাদ ফরয নয়

ولا يجب على صبيٍّ وامرأةٍ وعبدٍ وأعمى ومقعدٍ وأقطع.“নাবালেগ, মহিলা, গোলাম, অন্ধ, লেংড়া ও যার উভয় হাত কাটা: তাদের উপর জিহাদ ফরয নয়।” ব্যাখ্যাএখানে জিহাদ বলতে ইসলামী সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কাফের রাষ্ট্রে গিয়ে জিহাদ করা উদ্দেশ্য। অর্থাৎ স্বাভাবিক অবস্থায় জিহাদ যখন ফরযে কিফায়া; তখন নাবালেগ, মহিলা, গোলাম ও শারীরিকভাবে অক্ষমদের উপর কাফের রাষ্ট্রে গিয়ে জিহাদ... Continue Reading →

কাফেররা মুসলমান হয়ে যেতে চাইলে কি তাদের বিরুদ্ধে কিতাল করা যাবে?

ইসলামের আহবান করার পর কাফেররা মুসলমান হয়ে যেতে চাইলে তাদের সাথে কিতাল করা করা যাবে না। বরং জিহাদের উদ্দেশ্যই তো হলো ইসলামের প্রচার-প্রসার এবং আল্লাহর বান্দাদেরকে এর সুশীতল ছায়াতলে আনয়ন। যদি তারা দাওয়াত গ্রহণ করে মুসলমান হয়ে যেতে চায় তাহলে উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়ে গেছে; আর লড়াই করা যাবে না। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, فَإِنْ تَابُوا... Continue Reading →

শত্রুর অঙ্গহানি কখন হারাম হবে?

بسم الله الرحمن الرحيم মুছলা অর্থ অঙ্গহানি করা। নাক, কান বা অন্য কোন অঙ্গ কেটে ফেলা। হাফেজ ইবনে হাজার আসক্বালানী রহ. (৮৫২ হি.) বলেন- المثلة بضم الميم وسكون المثلثة، وهو قطع الأعضاء من أنف وأذن ونحوها. اهـ “মুছলা ... অর্থ নাক, কান বা অন্য কোন অঙ্গ কেটে ফেলা।” -ফাতহুল বারী ৬/২৩ আমাদের আলোচনায় মুছলা দ্বারা... Continue Reading →

কাফের জনসাধারণের উপর আক্রমনের বিধান

সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার জন্য, যিনি এক ও অদ্বিতীয়, তাঁর কোনো শরীক নেই, তিনি অমুখাপেক্ষী। দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তারঁ পরিবারবর্গ, সঙ্গী-সাথী, বিশ্বের সকল প্রান্তে থাকা মুমিন-মুসলিমদের উপর। বর্তমান সময়ের অত্যন্ত আলোচিত একটি প্রসঙ্গ হচ্ছে, "কুফফারদের জনসাধারণের উপর হামলা।" অনেকে এর পক্ষে... Continue Reading →

কিতালের পূর্বে দাওয়াত দেয়ার বিধান

প্রশ্ন: কিতালের পূর্বে কাফেরদেরকে দাওয়াত দেয়ার কি বিধান? দাওয়াতের প্রকার ও হিকমতসহ আলোচনা করুন? উত্তর: কাফেরদের অবস্থাভেদে কিতালের পূর্বে তাদেরকে দাওয়াত দেয়ার বিধান ভিন্ন ভিন্ন হয়। কখনো দাওয়াত দেওয়া ফরয, কখনো মুস্তাহাব আবার কখনো দাওয়াত দেয়া নাজায়েয। ইকদামি জিহাদের সময় যদি কাফেরদের কাছে ইসলামের দাওয়াত না পৌঁছে, তাহলে আক্রমণ করার পূর্বে তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেয়া... Continue Reading →

নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও মোকাবেলা করা জায়েয বরং প্রশংসনীয়

পূর্বোক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্ট, শত্রু সংখ্যা যতই হোক, মোকাবেলা করা কাশ্মিরিদের জন্য ফরয। দ্বিগুণ বা তার কম হওয়ার শর্ত প্রযোজ্য নয়। এ আলোচনা থেকে আশাকরি শায়খ আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়ার মূর্খতাও স্পষ্ট। শরীয়তের এমন সুস্পষ্ট বিষয় এবং যার ব্যাপারে স্বয়ং ইবনে তাইমিয়া রহ. এর স্পষ্ট নসও বিদ্যমান (যে ইবনে তাইমিয়াকে আশ্রয় করে তারা নিজেদেরকে সালাফি... Continue Reading →

Website Powered by WordPress.com.

Up ↑

Design a site like this with WordPress.com
শুরু করুন