ব্যক্তিগত ভুল ৪ঃ জনসম্মুখে শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুলকানো

শরীরে মশা বসতে তা তাড়াতে হয় ৷ একইভাবে শরীরের কোন অংশে চুলকানোরও প্রয়োজন হয় অনেক সময় ৷ এতে দোষণীয় কিছু নেই ৷ তবে সমস্যা হলো, যখন তা অতিরঞ্জিত হয়ে যায় ৷ বুঝার সুবির্ধাতে কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি!

নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত পুরুষের স্পর্শকাতর স্থান ৷ এর মধ্যে লজ্জাস্থানও অন্তর্ভূক্ত ৷ যা খোলা রাখার অনুমতি নেই ৷ দারসে,মাজলিসে,জনসম্মুখে ও কারো সাথে কথা বলার সময় এ স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে চুলকানোটা বেমানান ৷ লুঙ্গি অথবা পাজামা/সেলোয়ার পরিধান করা অবস্থায় তা আরো বেমানান ৷ আর যদি এ অবস্থায় গায়ে জুব্বা-পাঞ্জাবি না থাকে,তাহলে বিষয়টি অনেক ভয়াবহ হয় ৷ তখন চুলকালে স্পর্শকাতর স্থানের আকারও ফুটে উঠে ৷ এভাবে চুলকানো অথবা অন্য মনষ্ক হয়ে বিশেষ স্থান ধরে রেখে চুলকানো বর্জন করা ৷

আরো জঘন্য কাজ হলো,নিতম্বের ভিতর আঙ্গুল দিয়ে চুলকানো ৷ অনেকের বিশ্বাস করতে কষ্ট হতে পারে ৷ কিন্তু বাস্তব ছাড়া কোন কিছু আমি লিখছি না ৷ এমনও দেখেছি চুলকানোর পর সেই আঙ্গুল নাকের কাছে এনে গন্ধ নিচ্ছে ৷ অগোচরে অন্যরা এ বিষয়টি নিয়ে হাসি-ঠাট্রা ও মজা করছে ৷

বগলের নিচে চুলকানো খারাপ কিছু না ৷ তবে তা বারবার অথবা অধিক সময় করা ও জনসম্মুখে করাটা অশোভনীয় ৷
আবার কেউ ভুল বুঝবেন না যে,তাহলে চুলকালে শরীরে কি হাত দেওয়া যাবে না! হাত দিতে বা চুলকাতে নিষেধ করা হচ্ছে না কিন্তু ৷ কানে আঙ্গুল দিয়ে অনেকক্ষণ চুলকানো ৷ আর কানের ভিতরের ময়লা বের করে আনার চেষ্টা করা ৷ এমন জনসম্মুখে না করা ৷ কারো কাছে কথা বলার সময় কানের ময়লা বের না করা ৷ নাকের লোম হাত দিয়ে টেনে বের না করা ৷

মোটকথা শরীর চুলকানোর প্রয়োজন হলে তা করতে বাধা নেই ৷ তবে স্পর্শকাতর স্থানে সবার সামনে না চুলকানো ৷ আর বগলের নিচে ও কানের ভিতরও না চুলকানো প্রকাশ্যে ৷ নাকের লোম ও কানের ময়লা একাকী থাকাবস্থায় পরিষ্কার করা উচিত ৷

দায়ি,মুয়াল্লিম,মাসউলসহ সবাই এ বিষয়গুলো খেয়াল করবো ৷ ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদের আমল করার তাউফিক দান করুন ৷ আমিন


মূলঃ দাওয়াহ ও জিহাদ ভাই

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

Website Powered by WordPress.com.

Up ↑

Design a site like this with WordPress.com
শুরু করুন