দারুল হরবে সুদের বিধান

প্রশ্নঃ আমাকে এক ভাই প্রশ্ন করেছেন,দারুল হরবে সুদের বিধান কি? ভাই মালাউনদের দেশে থাকেন।
উনার কাছে মোটা অংকের অর্থ থাকে,সেজন্য তিনি তার টাকাগুলো নিরাপদের জন্য ব্যংকে জমা রাখেন, এবং সেখাান থেকে প্রতি মাসে কিছু লাভ পান। সেই লভ্যাংশের হুকুম কি? তিনি ভক্ষণ করতে পারবেন কি?

উত্তরঃ

বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম
মুহতারাম ভাই, উম্মাহর জুমহুর উলামায়ে কেরামের রায় হলো, সুদ কোথাও বৈধ নয়; দারুল ইসলামেও নয়, দারুল হরবেও নয়। তবে আবু হানিফা রহ. বলেন, হরবির মাল মূলত মুসলমানের জন্য বৈধ। গাদ্দারি ছাড়া যেকোনভাবে নেয়া হবে জায়েয হবে। সুদে যেহেতু পারস্পরিক সন্তুষ্টির ভিত্তিতে নেয়া হচ্ছে তাই জায়েয। এ হিসেবে হরবির মাল সুদের ভিত্তিতে নেয়াকে আবু হানিফা রহ. জায়েয বলেন। কেননা, এটা প্রকৃতপক্ষে সুদ নয়। তবে এটা দারুল হরবের সকল অধিবাসীর ক্ষেত্রে নয়। শুধু হরবি কাফেরের ক্ষেত্রে। মুসলমানের ক্ষেত্রে এমনটি জায়েয নয়। মুসলমানের মাল- দারুল ইসলামেই হোক আর দারুল হরবেই হোক- সুদের ভিত্তিতে বা অন্য যেকোন নাজায়েয পন্থায় নেয়া হারাম। এ হিসেবে ভারত-বাংলাদেশ-পাকিস্তানসহ বিশ্বের সকল দারুল হরবের কাফেরদের খালেছ মাল, যেটাতে মুসলমানদের কোন অংশ নেই, তা সুদের ভিত্তিতে নেয়া আবু হানিফা রহ. এর মতে জায়েয, আর অন্যান্য ইমামের মতে নাজায়েয। আর মুসলমানের মাল হলে কারো মতেই জায়েয নয়। যেহেতু উম্মাহর জুমহুর উলামায়ে কেরামের মতে হরবির মালেও সুদ জায়েয নয়, তাই এ থেকে বেঁচে থাকাই উচিৎ।

তবে একান্ত যদি লভ্যাংশ নিতেই হয় তাহলে ভক্ষণ করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। তবে গরীব-দুঃখী মুসলমানদেরকে দিয়ে দিলে আরো ভাল। নিজের গরীব আত্মীয়-স্বজনকেও দিতে পারবেন। তবে সবচেয়ে ভাল কোন লভ্যাংশ না নেয়া- যেহেতু জুমহুর নাজায়েয বলেছেন। ওয়াল্লাহু আ’লাম।


উত্তর দিয়েছেন- ইলম ও জিহাদ ভাই

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান

Website Powered by WordPress.com.

Up ↑

Design a site like this with WordPress.com
শুরু করুন